Summary
দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য
দুর্জন বলতে বোঝায় খারাপ লোক, যিনি যতই শিক্ষিত হন না কেন, তার সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত। মিথ্যাবাদী, দুর্নীতিপরায়ণ ও চরিত্রহীন লোকদের দুর্জন বলা হয়।
মূল পয়েন্টসমূহ:
- খারাপ লোকের শিক্ষা বা নিরক্ষরতার সাথে খারাপ হওয়ার সম্পর্ক নেই।
- দুর্জনের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে কারণ তারা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পায় না।
- দুর্জন লোক কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করা সম্ভব নয় এবং তাদের কারণে বিপদ হতে পারে।
- ভালো লোকের সঙ্গ অধিক কার্যকরী এবং নিরাপদ, তারা চরিত্রবান হলেও নিরক্ষর হলেও।
- চরিত্র গঠন করা কঠিন, তাই চরিত্রবানদের সঙ্গ প্রত্যাশিত।
অপরদিকে, চরিত্রহীন ব্যক্তির সঙ্গ রাখা ক্ষতিকর।
দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য।
ভাব-সম্প্রসারণ: দুর্জন মানে খারাপ লোক। খারাপ লোক যতই শিক্ষিত হোক না কেন, তার সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত।
সাধারণত মিথ্যাবাদী, দুর্নীতিপরায়ণ ও চরিত্রহীন লোককে এককথায় দুর্জন বলা হয়। যারা খারাপ লোক, তাদের কথায় ও আচরণে খারাপ স্বভাব প্রকাশ পায়। খারাপ লোক শিক্ষিত হতে পারে, উচ্চশিক্ষিত হতে পারে; আবার নিরক্ষরও হতে পারে। অর্থাৎ কারো খারাপ হওয়ার সঙ্গে শিক্ষিত হওয়া বা না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। যারা খারাপ লোকের সঙ্গে মেশে, তাদের সবাই খারাপ লোক মনে করে। এজন্য খারাপ লোকের সঙ্গ ত্যাগ করতে হয় এবং তেমন লোকের কাছ থেকে দূরে থাকতে হয়। একসময়ে এই বিশ্বাস করা হতো - কোনো কোনো বিষধর সাপের মাথায় মণি আছে। কিন্তু মণি আছে বলে সাপের সঙ্গে থাকাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তেমনি দুর্জন লোক শিক্ষিত হলেও তার সঙ্গ পরিত্যাগ করা উচিত। দুর্জন লোক অপরের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা কখনো পায় না। তার কাছ থেকে সঙ্গীর কিছু শেখার নেই। এমনকি, দুর্জনের কারণে সঙ্গীর বিপদও হতে পারে। বিপরীতভাবে, ভালো লোক নিরক্ষর হলেও তার সঙ্গ প্রীতিকর হয়। ভালো লোকের কাছ থেকে তার সঙ্গীর বিপদ ঘটার সম্ভাবনা থাকে না।
সচ্চরিত্র গঠন করা বিদ্যা অর্জন করার চেয়েও কঠিন কাজ। তাই যিনি চরিত্রবান, তার বিদ্যা থাক বা না-থাক, তার সঙ্গ প্রত্যাশিত। অন্যদিকে চরিত্রহীন ব্যক্তি বিদ্বান হলেও তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা ক্ষতিকর।
Read more